বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগের হামলায় কৃষক দলনেতা নিহত

আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার ঘরামী বিএনপিকে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক কথাবার্তা বললে তিনি এর প্রতিবাদ জানান।

বানারীপাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা

Location :

Barishal
নিহত আ: লতিফ হাওলাদার
নিহত আ: লতিফ হাওলাদার |সংগৃহীত

বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আ: লতিফ হাওলাদার (৫৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে স্থানীয় বিএনপি।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের করফাকর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটেে।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আ: লতিফ হাওলাদার শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে করফাকর প্রাথমিক সামনে একটি বেঞ্চে বসা ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার ঘরামী বিএনপিকে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক কথাবার্তা বললে তিনি এর প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেলোয়ার ঘরামী ও তার জামাতা তুহিনসহ একদল সন্ত্রাসী আ: লতিফের ওপর হামলা করে। হামলায় লতিফ অচেতন হয়ে পড়লে গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বজন ও স্থানীয়রা বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বানারীপাড়া থানার ওসি’র দায়িত্বে থাকা (ওসি তদন্ত) শতদল মজুমদার জানান, ‘নিহত লতিফের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

এ ঘটনায় বানারীপাড়া বিএনপি এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তৎক্ষণাৎ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহ আলম মিঞা ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ মৃধা বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের আ: লতিফকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’

তারা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।’

এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জুয়েল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বানারীপাড়া পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সজল দাস প্রমুখ।

এ ঘটনায় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো: শফিকুল ইসলামের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যান্ড অবস মো: আলাউল বানারীপাড়া থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার ও সঠিক বিচারের মুখোমুখী করা হবে বলে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।