জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘নেতায় একদিন ভোট কিনবে আর পাঁচ বছর আপনাদের গোলাম বানিয়ে রাখবে। যারা নির্বাচনের আগে পেশীশক্তি দেখিয়ে ভোট কিনতে আসবে তাদের মোকাবেলা করতে হবে। যেই নেতায় রাতের আধারে ভোট কিনতে আসবে মনে করবেন, তার যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে, নির্বাচনের পরে সেই নেতাই রাস্তার বরাদ্দের টাকা খাবে। নেতায় আপনার বাড়ির রাস্তার কাজের পারসেন্টেন্স খাবে তখন আপনার মুখ বন্ধ, কারণ আপনি তো নেতার কাছে এক হাজার টাকায় বিক্রি। এখন আপনারা কি কেউ এমন নেতার গোলাম হয়ে থাকতে চান? যদি না চান তাহলে এবার ভোট চুরি ও ভোট বিক্রির রাজনীতিকে ‘লালকার্ড’ দেখাতে হবে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামে একটি উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
এরআগে তিনি ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল-বিনিময় করেন।
উঠান বৈঠকে এনসিপির এ নেতা আরো বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার ইতিমধ্যে দেবিদ্বারের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নে ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে দেবিদ্বারের রাস্তাঘাটের কাজ শুরু হবে। তবে যে পরিমাণ বরাদ্দ এসেছে তা দেবিদ্বারের জন্য যথেষ্ট নয়। দেবিদ্বারের গত ১৫ বছরের ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট ঠিক করতে অন্তত ১২০০ কোটি টাকা দরকার, তবে পর্যায়ক্রমে এসব বরাদ্দ দেয়া হবে। আমি থাকি বা না থাকি দেবিদ্বারে কিন্তু এই ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে এটা প্রপারলি কাজে লাগাতে হবে। এবার সময় এসেছে গত ১৫ বছরের মানুষের ভোটের আকাঙ্খা পূরণ করার। আমরা একটি স্বনির্ভর দেবিদ্বার গড়ে তুলতে আপনাদের সকলকে পাশে চাই।’
উঠান বৈঠকে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি। আমরা দুর্নীতিগ্রস্থ আমলা, আয়নাঘর ও দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, আমরা ছোট্ট একটি রাজনৈতিক দল হয়েও কিন্তু অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বলতে ছাড়ি নাই, আমরা প্রতিবাদ করবই। আপনার যদি মনে হয় আমরা কোনোভাবে যোগ্য-সৎ তাহলে আমাদের সমর্থন দিবেন। না হলে সমর্থন দেয়ার দরকার নেই। যাকে যোগ্য মনে হবে তাকে সমর্থন দিয়েন।’
এসময় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে অংশ নেন দেবিদ্বার উপজেলার এনসিপির ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী মো: জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠিক নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য রাসেল আহমেদ, উপজেলার এনসিপির সার্চ কমিটির সদস্য ওবায়দুল্লাহ সহ ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।