ভাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে সদস্যদের অনাস্থা

এ সময় ইউপি সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন। কোনো ইউপি সদস্যের সাথে তার সম্পর্ক নেই। তিনি বরাদ্দ করা সামগ্রীও আত্মসাৎ করছেন।

এটিএম ফরহাদ নান্নু, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)

Location :

Bhanga
ভাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে সদস্যদের অনাস্থা
ভাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে সদস্যদের অনাস্থা |ছবি : নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, হতদরিদ্রদের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ করা সামগ্রী আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ অভিযোগে ওই ইউনিয়নের ১২ জন ইউপি সদস্য তার প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তার অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যানের দ্রুত অপসারণের দাবিতে শুক্রবার সকালে পরিষদ চত্বরে ইউপি সদস্য, ভুক্তভোগী কয়েক নারী, এলাকাবাসী এক প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরিষদ চত্বরে জড় হয়ে তারা চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে নানা স্লোগান দেন।

এ সময় ইউপি সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন। কোনো ইউপি সদস্যের সাথে তার সম্পর্ক নেই। তিনি বরাদ্দ করা সামগ্রীও আত্মসাৎ করছেন।

ইউপি সদস্যরা আরো বলেন, ওই চেয়ারম্যান বরাদ্দ সামগ্রী মেম্বারদের স্বাক্ষর না নিয়ে একাই আত্মসাৎ করছেন। তা ছাড়া তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের অন্যতম দোসর তিনি। তিনি বেশিরভাগ সময় পরিষদ তালাবদ্ধ রেখে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। এতে জনসাধারণের সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তারা বলেন, তা ছাড়া হতদরিদ্রের জন্ম বরাদ্দ বিভিন্ন প্রকল্পের মালামাল, ভিজিএফ, ভিজিডি, প্রসূতি ভাতা গ্রহিতাসহ উপকারভোগীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি পরিষদ চত্বরে ভুক্তভোগী নারী-পুরুষসহ ইউপি সদস্যরা জড়ো হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা দ্রুত চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করেন।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আনোয়ার উদ্দিন মোল্লা, ইয়াদ আলী ফকির, চান মিয়া, আতিয়ার মাতুব্বর, সামাদ মাতুব্বর, তাছলিমা বেগম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম সোহাগের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।