জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক বলেছেন, ‘২৮ অক্টোবর পাশবিকতার নির্লজ্জ উল্লাসের দিন ও দানবীয় নৃশংসতার দিন। এ গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গণহত্যার মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের বিচার ও শাস্তি দিতে হবে।’
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানবাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে ২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকাণ্ড দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফর সাদেক বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ছিল চারদলীয় জোট সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন। এ দিনে গণহত্যা, কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর বাধাগ্রস্ত করা এবং গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধারা নস্যাৎ করার জন্য তারা এ হত্যাকাণ্ড করেছিল। এ হত্যাকাণ্ড ছিল সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীর ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনার নির্দেশে সেদিন লগি-বৈঠা ও বোমা মেরে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৯ ঘণ্টাব্যাপী হামলার নৃশংসতার দিন। সেদিন পল্টনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত ও শিবিরের ১৪ জনসহ সারাদেশে ২১ জন ভাই শাহাদাত বরণ করেছেন।’
চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
এ সময় বায়তুশ শরফ কামিল মাদরাসা সাবেক অধ্যক্ষ ড. প্রফেসর সাইয়েদ আবু নোমান, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান, চট্টগ্রাম নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, নগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজুর রহমান, আমির হোছাইন ও ডবলমুরিং থানা আমির ফারুকে আজম, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী ও প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



