কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রকাশ্যে শরীফ মিয়া (৩৯) নামের এক ব্যাবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দুই মাস পর মো: আসাদ মিয়া (৩৫) নামে এক আসামীকে শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি মামলার এজাহারভূক্ত দুই নম্বর আসামি।
গ্রেফতার আসাদ মিয়া উপজেলার সালুয়াদী গ্রামের মরহুম জয়নাল আবেদিনের ছেলে। এর আগে গত ২৮ মে ওই মামলার প্রধান আসামি ইমাম হোসেন মোড়লকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১৭ জুন মামলার আরো দুই আসামি শান্ত মিয়া (২২) ও জাহেদুল ইসলাম পরশকে (১৯) ডিএমপি উত্তরা বিভাগের দক্ষিনখান থানার ফায়দাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত শরীফ মিয়া একই এলাকার মরহুম খায়রুজ্জামানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো: মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দিনাজপুর সদর থানা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া থানায় দুটি মাদক ও একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে উপজেলা্র নামা সালুয়াদী বাজারে হোসাইন ইঞ্জিয়ারিং অ্যান্ড ওয়ার্কসপে ঢুকে লাঠি ও ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে দোকান মালিক শরীফ মিয়াকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।