নানা রঙে সাজানো রঙিন রথ। রথের মাঝখানে বসানো স্বর্ণখোচিত বৌদ্ধ মূর্তিকে আগরবাতি মোমবাতি জ্বালিয়ে সম্মান জানাচ্ছে ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ। যে যার মতো করে উৎসর্গ করছে দান। অন্যদিকে নারী পুরুষ রঙিন ফানুস বাতি উড়াচ্ছেন রাতের আকাশে।
এছাড়া কাগজ ও বাঁশের কঞ্চিতে বানানো ভূত-প্রেত দেবতা সাধারণ মানুষ নারী শিশুদের ভয় দেখিয়ে আনন্দ দিচ্ছে। প্রবারণ পূর্ণিমার রথটানা আনন্দে মুখরিত ছিল বান্দরবান শহরের উজানী পাড়া মধ্যমপাড়া।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ছিল উৎসবের শেষ দিন। বিকেলে শহরের উজানীপাড় বৌদ্ধ মন্দির থেকে রথযাত্রার শুরু হয়ে তা মধ্যমপাড়া উজানী পাড়া প্রদক্ষিণের পর রাতে সাঙ্গু নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়।
এবারের রথ টানা উৎসব ছিল অন্য বারের চাইতে ভিন্ন। খাগড়াছড়িতে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে এবার বান্দরবানে উৎসব সীমিত করা হয়। রথের পেছনে ছিল না কোনো আনন্দ নাচ-গান। এসময় মারমা তরুণ তরুণীরা রথের সাথে নেচে গেয়ে উৎসব পালন করে।
উৎসব উদযাপন কমিটি জানায় এবার সীমিত পরিসরে উৎসবের আয়োজন করা হয়। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম এই প্রবারণ্য পূর্ণিমা। বিশেষ করে বান্দরবানে রথ যাত্রার কারণে মারমাদের এই উৎসব হয়ে ওঠে আনন্দময়। মারমারা এই উৎসবকে বলে ওয়াগ্যোয়ে। বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে তিন মাস বর্ষা বাসের পর এই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবে থাকে রথযাত্রা ফানুস বাতি উড়ানো, পিঠা তৈরি, পূজা পার্থনা। বান্দরবানে বারটি জাতি গোষ্ঠীর বসবাস হওয়ায় এখানে এই উৎসুকটি হয়ে থাকে আনন্দময়।