লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তার ও বাস কাউন্টারকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর জেলা শহরের ঝুমুর ও মটকা মসজিদ এলাকায় দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো: জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল কাদের, মিজান মোল্লা, ফরহাদ, শুভ, রাকিব, মো: দিপু, রাফি, রাতুল, শিপু, নাঈমসহ ১৬ জন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের মাথা ফেটে যায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নোয়াখালীর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহত কাদের ও মিজানকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হন তারেক ও জাহাঙ্গীর। এ দুই পদ প্রত্যাশী নেতার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পদ নিয়ে পূর্ব থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বুধবার সন্ধ্যার পর চট্রগ্রাম রুটে চলাচলকারী শাহী ও জোনাকী পরিবহনের ঝুমুর কাউন্টারে টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্টারের লোকজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেখানে থাকা শাহী কাউন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তারেক। কথা-কাটাকাটির জেরে জোনাকি কাউন্টারের পক্ষে ঘটনাস্থলে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যান আরেক পদপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীরের অনুসারী যুবদল কর্মী আহত মিজান মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরসহ তারা ঝুমুর এলাকায় যান। রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তারেক ও তার কর্মী সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। পরে মটকা মসজিদ এলাকায় অবস্থান নিলে সেখানে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহতদের সদর হাসপাতালে দেখতে যান জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ূন ও সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন।
জেলা যুবদলের সভাপতি হুমায়ূন বলেন, জাহাঙ্গীর ও তারেক পৌর ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) অরূপ পাল বলেন, হাসপাতালে আহত ১৬ জন চিকিৎসা নিতে আসে। এদের মধ্যে দুই জনকে ও একজনের রেফার্ড করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা শুনেছি। তবে কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।