চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিজামপুর সরকারি কলেজ এলাকায় ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এদিকে সংঘর্ষের সময় রকেট লাঞ্চার দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে পুরো বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজ গেটে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সেলিম অনুসারী নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অনুসারী ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মোহাম্মদ রাশেদ, আরিফুল ইসলাম, মনির হোসেন, রুমেল। তাদের মধ্যে ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে নিজামপুর কলেজে ২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে রূপ দেয়া হয়। এছাড়া দুপুরে দমদমা এলাকায় এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে আসায় বিকেলে ছাত্রদলের দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় রকেট লাঞ্চার দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে পুরো বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন মাসুদ বলেন, ‘রোববার ২০২৪ ও ২০২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে আমাদের গ্রুপের এক ছাত্রকে দমদমা থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর খবর পেয়ে উভয়পক্ষ কলেজ গেটে অবস্থান নেয়। এরপর ইউনিয়নের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু সন্ধ্যার আগে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারী নাঈম সরকার উপজেলার বারইয়ারহাট ও মিরসরাই থেকে অস্ত্রশস্ত্রসহ লোকজন জড়ো করে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এ সময় রকেট ল্যাঞ্চারে যুবদল নেতা আরিফের গলার অংশ জ্বলসে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।‘
ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার বলেন, ‘কলেজে ২৪-২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির অনুসারীরা ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে উসকানি দেয় এবং দু’জন সাধারণ ছাত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সাধারণ ছাত্ররা ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গেলে যুবদল নেতা জিয়া, আরিফ, রহিমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর রকেট লাঞ্চার ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আতিকুর রহমান জানান, নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।