জীবননগরে ভৈরব নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে ফসল প্লাবিত, আতঙ্কে মানুষ

স্রোতে কৃষকদের দেয়া জাগ পাটও ভেসে যেতে দেখা গেছে এবং নদীর পাড় সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের জমির ফসলও কিছুটা প্লাবিত হয়েছে।

হুসাইন মালিক, চুয়াডাঙ্গা

Location :

Chuadanga
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো জমির ফসল তলিয়ে যাবে ও নিচু এলাকা প্লাবিত হবে
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো জমির ফসল তলিয়ে যাবে ও নিচু এলাকা প্লাবিত হবে |নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদীতে হঠাৎ স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় একটি ব্রিজের অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার বিকেল থেকে পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে নদীর প্রবল স্রোতে অত্র উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের জোল মাঠ নামক স্থানে নদীর ওপরে তৈরি একটি ব্রিজের অংশ বিশেষ ভেঙে পড়ে। এ সময় স্রোতে কৃষকদের দেয়া জাগ পাটও ভেসে যেতে দেখা গেছে এবং নদীর পাড় সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের জমির ফসলও কিছুটা প্লাবিত হয়েছে।

তবে পানির উচ্চতা কত সেন্টিমিটার বেড়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এখানো জানা যায়নি।

সোমবার বিকেলে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর ও মনোহরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যায়। এসময় নদীর তীব্র স্রোত দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায় নদীর তীরে। অনেকেই স্রোতের মধ্যে মাছও ধরেছেন। তখন পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকে তাৎক্ষণিক নিরাপদ আশ্রয়েও চলে যান। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।

মনোহরপুর গ্রামের এ আর ডাবলু নামের এক বাসিন্দা বলেন, এবছর অনেক বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভৈরব নদীতে এমন স্রোত দেখিনি। সোমবার বিকেল থেকে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সন্তোসপুর গ্রামের সজিব হোসেন জানান, দুপুরেও নদীর পানি স্বাভাবিক ছিল। বিকেল থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়ে তীব্র স্রোত বইছে।

স্থানীয়দের ধারণা, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে অথবা কোনো বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলেই হঠাৎ করে ভৈরব নদীতে পানির স্রোত বেড়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো জমির ফসল তলিয়ে যাবে ও নিচু এলাকা প্লাবিত হবে।

এ বিষয়ে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো আগাম আনুষ্ঠানিক কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হয়নি। তবে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।