ভারতের নিষেধাজ্ঞায় প্রভাব পড়েছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

‘চলতি অর্থ বছরের ১১ মাসে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছে। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রফতানি আরো কমে আসবে।’

নুরুন্নবী ভুইয়া, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

Location :

Akhaura
আখাউড়া স্থলবন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি
আখাউড়া স্থলবন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের সাথে স্থল বাণিজ্যে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে। এতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী, তুলা, কাঠের ফার্নিচার রফতানি বন্ধ হওয়ায় রফতানি নির্ভর এই বন্দরের ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

রোববার (১৮ মে) আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান জানান, শনিবার ২৫ থেকে ৩০টি পণ্যবাহী গাড়ি ভারতে গেলেও আজ তা অর্ধেকে নেমে গেছে। এতে মাশুল আদায়ও কমেছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান ও নাছির উদ্দিনসহ অন্য রফতানিকারকরা জানায়, বছরে কয়েক শত কোটি টাকার কাঠের ফার্নিচার ও প্লাস্টিক সামগ্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রফতানি হয় এই বন্দর দিয়ে। বছরে ২০ কোটি টাকার তুলা রফতানি হয়। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সম্পূর্ণ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল।

আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘চলতি অর্থ বছরের ১১ মাসে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছে। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রফতানি আরো কমে আসবে।’

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকলে রফতানি খাতে আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রমে গতি হারাবে। এতে বন্দর নির্ভর শত শত শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বে।

উল্লেখ্য, ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ সুতা আমদানি বন্ধ করার এক মাসের মাথায় এবার বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাকসহ সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। তবে কলকাতা ও মুম্বাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি করার সুযোগ দিচ্ছে।