ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে এর সংক্রমণ না ছড়ানোর লক্ষে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কাজ শুরু করেছে মেডিক্যাল টিম। একইসাথে পাসপোর্ট যাত্রীদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হচ্ছে। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন যাত্রীরা।
জানা যায়, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বুথ স্থাপন করে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ভারত থেকে দেশে ফেরা যাত্রীদের ডিজিটাল স্ক্যানারের মাধ্যমে জ্বর মাপা, ক্ষুধা-মন্দাসহ অন্য উপসর্গ আছে কি না তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে যাদের মধ্যে এ ধরনের সিমটম পাওয়া যাচ্ছে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
ভারত থেকে দেশে আসা গনেশ সাহা বলেন, ‘আমি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছি ওপারে মাস্ক পড়তে বলছে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আসার পরেও মাস্ক পড়তে বলছে। দু’পাশেই আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। কোনোরকম সিমটম নেই বলে ছেড়ে দিয়েছে।’
দেশে ফেরা পাসপোর্ট যাত্রী সুস্মিতা সেন বলেন, ‘আবারো ভারতে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এটি যেন মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারণে এটি রোধের জন্য সকলকে মাস্ক পড়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ইমিগ্রেশন থেকে বলা হচ্ছে। এভাবে চলতে পারলে আমরা সুস্থ থাকার পাশাপাশি দেশেও মহামারি আকারে রোগটি ছড়াবে না।’
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই আবু তালেব বলেন, ‘করোনা সংক্রমণরোধে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখানে মেডিক্যাল টিম বসেছে, যেখানে যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। যাত্রীদের মাস্ক পড়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাসহ এ বিষয়ে তাদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। সেইসাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য বলা হচ্ছে। যদি মেডিক্যাল টিমের কাছে কারো শরীরে এ ধরনের সিমটম প্রকাশ হয় তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা: হুমায়ন কবির বলেন, ‘করোনা সংক্রমণরোধে সারাদেশের মতো হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টেও মেডিক্যাল টিম কাজ শুরু করেছে। অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার জন্য বলছি। সেই সাথে জনসমাগম বেশি এমন স্থানে না গিয়ে বাসায় থাকার চেষ্টা করতে হবে।’