সারজিস আলমের বক্তব্যের প্রতিবাদ

পাটগ্রাম থানায় হামলার মামলায় গ্রেফতার ৪

‘উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিএনপিকে জড়িয়ে তার ভেরিফায়েড ফেইস বুক পেইজে যে পোস্ট দিয়েছেন তা অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যমূলক ও দুঃখজনক। এ ঘটনাটি নিছক ইজারাদার ও প্রশাসনের মধ্যকার বিষয়। এর সাথে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’

আমিনুর রহমান বাবুল, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

Location :

Patgram
পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৪
পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৪ |নয়া দিগন্ত

পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামা এবং ইজারাদার চপল মোস্তাজীরসহ ২৭ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে বিএনপিকে জড়িয়ে উত্তরাঞ্চরের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্টসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে অভিযোগ করে তার প্রতিবাদ করেছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে পাটগ্রাম পৌর শহরের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ব্যারিস্টার রাজিব বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিএনপিকে জড়িয়ে তার ভেরিফায়েড ফেইস বুক পেইজে যে পোস্ট দিয়েছেন তা অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যমূলক ও দুঃখজনক। এ ঘটনাটি নিছক ইজারাদার ও প্রশাসনের মধ্যকার বিষয়। এর সাথে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’

বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে তার কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল মাটির নীচ থেকে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করে সরকারের ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতি করে আসছে। খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গত ২২ মে উপজেলায় নয়টি পাথর কোয়ারী দরপত্রের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে ৬০ লাখ টাকা জমা দেয়ার মাধ্যমে দুইজন ইজারাদারকে অযান্ত্রিক পদ্বতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেয়। উত্তোলিত পাথর বাজারজাত করার স্বার্থে ইজারাদার পাথর পরিবহন ট্রাকের সঠিক হিসাব রাখার জন্য নিজস্ব টোকেন ব্যবহার করেন। কিন্ত যে মহলটি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে এতদিন পাথর উত্তোলন করছিল তারা ইজারাদারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ঘটনার দিন রাতে ইউএনও উত্তম কুমার দাশ ইজারাদারের দুইজন কোয়ারী কর্মীকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনা জেনে ইজারাদাররা কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সাথে নিয়ে থানায় ওসির সাথে কথা বলতে গেলে তাদের সাথে পুলিশের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে ১৭ জন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনাটি অবগত হয়ে উপজেলা বিএনপি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্ত এই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে একটি মহল বিএনপিকে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সপিকার রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি সালাউজ্জামান ওপেল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান সোহেল, যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ শওকত হায়াত প্রধান প্রমুখ।