ফরিদপুরের সালথায় ধান খেত থেকে বিরল প্রজাতির মেছো বিড়ালের তিনটি বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। কৃষকরা ধান কাটার সময় বাচ্চাগুলো পাওয়ার পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন। লালন-পালনের পর বড় হলে অবমুক্ত করা হবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে মেছো বিড়ালের তিনটি বাচ্চা উদ্ধারের পর ফরিদপুর বন বিভাগে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের লালন-পালন করা হচ্ছে। এর আগে রোববার বিকেলে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের রাসেল মাতুব্বর বিলুপ্তপ্রায় মেছো বিড়ালের তিনটা বাচ্চা ধান খেত থেকে উদ্ধার করেন।
রাসেল মাতুব্বর বলেন, ‘উপজেলার নটখোলা মাঠে ধান কাটার সময় খেতের মাঝে বাচ্চাগুলো দেখতে পাই। তখন আমার কাছে মনে হয় বাচ্চাগুলো মেছো বাঘের হবে। এ সময় বাচ্চাগুলোর মা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন ফাঁকা জায়গায় বাচ্চাগুলো থাকলে নিরাপদ মনে হচ্ছিল না। তাদের দেখে খুব মায়া লাগে। তখন আমি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাই। পরে বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে বাচ্চা তিনটি নিয়ে যান।’
সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুরের ফরেস্ট রেঞ্জার তাওহীদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে বাচ্চা তিনটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে রাখা হয়েছে। এগুলো মেছো বিড়ালের বাচ্চা। সচরাচর দেখা যায় না। সাধারণত এরা ক্ষতিকর নয়। কৃষি জমির জমিতে ইঁদুর খায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাচ্চা তিনটির বয়স এক মাসের মতো হবে। হাঁটাচলা করতে পারে। তবে এতো ছোট বাচ্চা এ মুহূর্তে ছাড়া ঠিক হবে না। যার কারণে তাদের মাছ খাওয়ানোসহ লালন-পালন করা হচ্ছে। বড় হলে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হবে।’
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেছো বিড়ালের বাচ্চা তিনটি আপাতত আমাদের হেফাজতে আছে। লালন-পালনের পর বড় হলে অবমুক্ত করা হবে’।



