লোহাগাড়ায় গণমিছিলে জামায়াত নেতার মৃত্যু

গণমিছিলে অংশ নিয়ে স্ট্রোক করে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও পদুয়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালামের মৃত্যু হয়েছে।

মোছাদ্দেক হোসাইন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম
অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম |নয়া দিগন্ত

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিলে অংশ নিয়ে স্ট্রোক করে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও পদুয়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালামের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) লোহাগাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বাদ আছর লোহাগাড়া আমিরাবাদের ওয়েডিং পার্কে গণজমায়েত শেষে মিছিল নিয়ে বটতলী মোটরস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। এ সময় হঠাৎ স্ট্রোক করে পড়ে যান তিনি। পাশের মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গণজমায়েতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। এতে সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম।

উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী নয়া দিগন্তকে বলেন, লোহাগাড়ায় তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তি মজবুত করতে মাওলানা আবুল কালাম সাহেবের কঠিন পরিশ্রম রয়েছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদের আমলে মাওলানা আবুল কালাম ভাই বারবার জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। কখনো কারাগার, কখনো আদালত চত্বরে এভাবে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন বারবার।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতকে সংগঠিত করতে আবুল কালাম ভাই অপরিসীম ত্যাগ শিকার করেছেন। আমরা বহুদিন একসাথে কারাগারে ছিলাম।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, মাওলানা আবুল কালাম অত্যন্ত যোগ্য দায়িত্বশীল ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে আমি তাকে সংগঠনের প্রতি দায়িত্ববান ও ব্যক্তিগত জীবনে তাক্বওয়াবান হিসেবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তাকে ক্ষমা করুন। তার রূহের মাগফিরাতের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছি।