ভুল সিগন্যালে নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামেনি ট্রেন, সাময়িক বরখাস্ত ৪ কর্মকর্তা

এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রূপন চন্দ্র শীল, গার্ড ও দু’ ট্রেন চালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

Location :

Nangalkot
নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামেনি ট্রেন
নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামেনি ট্রেন |নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে সিগন্যালের ভুলে যাত্রী উঠানামা না করিয়ে হাসানপুর নামে পরবর্তী স্টেশনে চলে যায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন। এ সময় বাধ্য হয়ে নাঙ্গলকোট স্টেশনের যাত্রীরা নামেন সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরের হাসানপুর স্টেশনে। আর নাঙ্গলকোট স্টেশনে অপেক্ষমাণ চট্টলার যাত্রীদের ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের মধ্যবর্তী কোনো স্টেশনে যাত্রা বিরতি না থাকা সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে উঠিয়ে দেয়া হয়। এতে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে নাঙ্গলকোটের যাত্রীদের। রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রূপন চন্দ্র শীল, গার্ড ও দু’ ট্রেন চালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নম্বর ৮০২। সুবর্ণ এক্সপ্রেসের নম্বর ৭০২। চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন ৬টা ২১ মিনিটে নাঙ্গলকোট স্টেশন ছেড়ে যায়। গত কয়েক মাস ধরে নির্ধারিত সূচিতে ট্রেনটি চলাচল করছে না। প্রায় প্রতিদিনই এক থেকে তিন ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে। রোববার এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট বিলম্বে ৭টা ২৬ মিনিটে নাঙ্গলকোট স্টেশন অতিক্রম করে। যদিও এটি নাঙ্গলকোট যাত্রাবিরতি দেয়ার কথা।

অপরদিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে নাঙ্গলকোট স্টেশন অতিক্রম করে। যার কারণে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন স্টেশন মাস্টার। তিনি ভুলে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দেয়ায় চট্টলা চলে যায় পরের স্টেশন হাসানপুরে। এদিকে ভুলের কারণে নাঙ্গলকোটে স্টপেজ দেয় বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস। অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ওই ট্রেনে করেই শেষমেশ চট্টগ্রাম পৌঁছান।

নাঙ্গলকোটের স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, ‘দু’টি ট্রেনের নম্বরের শেষে দুই আছে। ওই সময়ের দায়িত্বরত সহকারী স্টেশন মাস্টার রূপন চন্দ্র শীল ৮০২-কে ৭০২ মনে করে লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেন। ওই সময়ে চালক ও গার্ড দক্ষতার পরিচয় দিলে এমন ভুল হতো না। মোটকথা, সহকারী স্টেশন মাস্টার, চালক ও গার্ড সবার অসাবধানতার কারণে এমন ভুল হয়েছে।’