পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ‌‌‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ গ্রাফিতি উদ্বোধন

এটি কেবল একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয় বরং ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার এক অনন্য উদ্যোগ। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা।

আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ

Location :

Munshiganj
গ্রাফিতি উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
গ্রাফিতি উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী |নয়া দিগন্ত

২০২৪ সালের জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ম্যুরালে অঙ্কিত ইতিহাসভিত্তিক গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে এসব গ্রাফিতির উদ্বোধন করা হয়।

মাওয়া প্রান্তের ম্যুরাল চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একইসাথে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে পদ্মাসেতুর দুই প্রান্তের ম্যুরালে এ গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এটি কেবল একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয় বরং ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার এক অনন্য উদ্যোগ।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা। এ প্রজন্মকে জানাতে হবে—জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন ছিল না বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল। এ আন্দোলন জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত করবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেতু বিভাগের সচিব, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি।