চৌগাছায় শিবির নেতাদের ক্রসফায়ারের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল যশোরের চৌগাছায় দুই শিবির নেতার ক্রসফায়ারের রোমহর্ষক সেই ঘটনার তদন্ত করেছেন।

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর)

Location :

Jashore
প্রতিনিধিদল ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন
প্রতিনিধিদল ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন |নয়া দিগন্ত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল যশোরের চৌগাছায় দুই শিবির নেতার ক্রসফায়ারের রোমহর্ষক সেই ঘটনার তদন্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিনব্যাপী এ প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল, থানা, হাসপাতাল ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে এ তদন্তে আসেন।

তদন্ত কমিটিকে শিবির নেতা ইসরাফিল হোসেন ও রুহুল আমিন জানান, পতিত সরকারের শাসনামলে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন চৌগাছা থানার ওসি মশিউর রহমান, সেকেন্ড অফিসার এসআই আকিক, এসআই মখলেস, এসআই আহসান, এএসআই মাজেদ হোসেন ও তাদের সঙ্গীরা আমাদের মহেশপুর-চৌগাছা সড়কের টেঙ্গুরপুর মোড় থেকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করেন। পরে রাতে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের বুন্দলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের দু’জনের পায়ে গুলি করেন। সেখান থেকে আমাদের চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আমাদের যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গুতে। সেখানে দু’জনের দুটি পা কেটে বাদ দেয়া হয়। পরে আমাদের জেলে পাঠানো হয়।

এদিকে ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিনিধি দল তদন্তে নামেন। পরে সরেজমিনে ঘটনাস্থল বুন্দলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছে রোমহর্ষক সেই ঘটনার বর্ণনা শোনের প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের কাছ থেকে। এ সময় এ প্রতিনিধিদল ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমরা দিনব্যাপী ঘটনাস্থল, হাসপাতাল, থানা ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাক্ষ্য নিয়েছি। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে দেয়া হবে।’