বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “জুলাই মানে হাসিনার পতন নয়, আদর্শিক জাগরণ তৈরি হয়েছে। জুলাই মানে ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে। প্রয়োজনে শহীদ হবো, তবু অন্যায়ের কাছে মাথানত করা যাবে না। এগুলো ইসলামের আদর্শ থেকে এসেছে।”
ছাত্রশিবিরের প্রতি শিক্ষার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ক্ষমতার পরিবর্তন নয়। বিজয় পেয়েছি। এখন কেউ বাধা দেয় না। ডাকসু, জাকসু জয় পেয়েছি। একসময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের নামও মুখে নেয়া যেতো না। এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্রশিবিরের নাম শুনলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মক্কা বিজয়ের পর মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুল সা. কে হিজরত করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিজয়ের পর অহংকারী হওয়া যাবে না। অনেক কিছু অর্জন করেছেন বলে মনে হলে পতন সেখান থেকেই শুরু হবে। সুযোগকে আমানত হিসেবে মনে করে কাজে লাগাতে হবে। সেই সাথে কুরআান-হাদিস ও একাডেমিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কাঙ্খিত নেতৃত্বের জন্য নিজেদের প্রস্তত করতে হবে।”
মঙ্গলবার বিকালে শহরের কিং অব ফেনী কমিউনিটি সেন্টারে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর ও জেলা শাখার উদ্যোগে সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শহর সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞা, ফেনী জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আবু হানিফ হেলাল ও সেক্রেটারি ইমাম হোসেন আরমান।
শিবির সভাপতি জাহিদুল বলেন, “হায়াত সংকীর্ণ, স্বপ্ন বড়। এজন্য সময় অপচয় করা যাবেনা। পরিশ্রম করতে হবে। রাসুল সা. কম সময়ে অনেক বিজয় অর্জন করেছেন। জিয়া ফোর্স, শেখ মুজিবের আদর্শের অনুসারীদের মত হলে চলবেনা। মূর্খ্যের সাথে বিতর্ক করা যাবেনা। নিজকে নিয়ে ভাবতে হবে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রের মধ্যে আল্লাহ কবুল করেছেন বলেই ছাত্রশিবিরে শামিল হতে পেরেছে। ছাত্রশিবির মানে হেদায়েতের রাজপথ। হেদায়েতের রাস্তা চিনতে, বুঝতে, চলতে পারার সুযোগ দিয়েছেন। এজন্য মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
একইদিন রাতে শহরের দারুল ইসলাম সোসাইটি মিলনায়তনে সদস্য সমাবেশেও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।