রাজশাহীর দুর্গাপুরে সরকারি বরাদ্দের ডিএপি সার পাচারের সময় ২০ বস্তা সারসহ তাহাজ্জাক হোসেন (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আটক ব্যক্তি মাড়িয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার নাজিম উদ্দীনের ম্যানেজার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সার বাইরে পাচার করে বাঘমারার তাহেরপুর বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতেন। সেদিনও একইভাবে সার সরিয়ে নেয়ার সময় কৃষকরা তাকে হাতে-নাতে ধরেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে এলে উত্তেজিত কৃষকেরা তাকে এক পর্যায়ে ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার ও কিছু কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়মিত সার পাচার হচ্ছে। ফলে মনোনীত ডিলারের দোকানে সরকারি দামে সার পাওয়া যাচ্ছে না; বাধ্য হয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যয় বাড়ছে এবং সংকটের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘ডিলার নাজিম আমাদের সার দেন না। পরে দেখি সে সার খুচরা দোকানে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তার ম্যানেজার তাহাজ্জাক সরাসরি জড়িত।’
আহাদ আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘এক বস্তা ডিএপি সারের দাম সরকারি হিসেবে ১০৫০ টাকা, কিন্তু ডিলার ১৪০০ টাকা চান। নিয়মিত প্রতারণা চলছে, তাই তার ডিলারশিপ বাতিল চাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘আটক সারগুলো আমার নয়। কৃষকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন, ‘এ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। তাকে দায়িত্ব থেকে সরাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সার বিতরণ নিয়ে মনিটরিং চলছে। আজকের ঘটনায়ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা নূর তানজু বলেন, ‘সার পাচারের ঘটনায় আটক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’



