রংপুরে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করলেন কৃষি কর্মকর্তা

মঙ্গলবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বসবেন স্থানীয় পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রেজা।

Location :

Rangpur
প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন
প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন |নয়া দিগন্ত

মফিদুল ইসলাম সরকার, পীরগাছা (রংপুর) সংবাদদাতা

রংপুরের পীরগাছায় পুকুরের পাড় ভেঙে প্রায় একশত একর পাকাধানের জমি প্লাবিত হওয়া সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কৃষিকর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তিনি এ এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি সরেজমিনে এলাকাটি পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি।’

তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ সকল কৃষকের পাশে থেকে তিনি সকল ধরণের সহযোগিতা করবেন।

কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘মঙ্গলবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বসবেন স্থানীয় পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রেজা।’

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিশামত ঝিনিয়ায় (চকচকার ঢোলা) প্রতিবছরের মতো এবারো মৎস খামারের বাঁধ ভেঙে প্রায় একশত একর পাঁকা ধানের আবাদ প্লাবিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী লিখিতভাবে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পীরগাছা থানায় পৃথক পৃথকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, সুখান পুকুর, কিসামত সুখান পুকুর, কিসামত ঝিনিয়া ও ছোট ঝিনিয়া মৌজার তারা সকলেই কৃষক।

এ সময় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, চকচকার দোলায় আমরা বংশ পরম্পরায় চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। চকচকার দোলায় কিছু মৎস্যচাষী প্রতিবছর আমাদের আমন মৌসুমে পাকা ধান কাটার সময় পুকুরের পাড় কেটে পানি ছেড়ে দেয় এবং ইরি মৌসুমে ইরি ধান লাগানোর পরেই রোয়া না লাগতেই পানি ছেড়ে দিয়ে রোয়া নষ্ট করেন। তারেই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত্রে পুকুরের পাড় কেটে পানি ছেড়ে দিয়ে আমন মৌসুমের কাটা ধানে এবং পাকা ধানের জমি প্লাবিত হয়ে যায়। এতে করে আমাদের প্রায় ১০০ একর জমির কাটা ও পাকা ধান পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার মূল্য বর্তমান বাজারে প্রায় এককোটি টাকা।

অভিযুক্ত মৎস্যচাষি হাসেম আলী জানান, মূলত ইঁদুরের গর্ত বড় হওয়ার কারণে ভেঙে গিয়েছে।

এ ব্যাপারে কৃষক শাহিন বলেন, ‘প্রতিবছর এভাবে পুকুরের বাঁধ কেটে দেয়, এর ফলে কৃষকরা বাধ্য হয়ে তাদের কাছে জমি লিজ দেন অথবা বিক্রি করেন। এর একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।’

থানার এসআই মো: শাহিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখলাম। এখন উভয়পক্ষের সাথে বসে সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করবো। এর পরে যদি সমাধান না হয় তাহলে কৃষকদের অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’