প্রেমের টানে নওগাঁর বদলগাছীতে মালয়েশিয়ান তরুণী, বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

‘জামিলকে আমি মন থেকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। জামিলের পরিবার আমাকে মেয়ের মতো আপন করে নিয়েছে। গ্রামের মানুষজন এত আন্তরিক ভাবতেই পারিনি এত ভালোবাসা পাব।’

Location :

Badalgachhi
প্রেমের টানে নওগাঁর বদলগাছীতে মালয়েশিয়ান তরুণী, বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
প্রেমের টানে নওগাঁর বদলগাছীতে মালয়েশিয়ান তরুণী, বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে |নয়া দিগন্ত

খালিদ হোসেন মিলু, বদলগাছী (নওগাঁ)

ভাষা, সংস্কৃতি আর দেশের ব্যবধান সবকিছুই যেন হার মানল ভালোবাসার কাছে। মালয়েশিয়ার তরুণী নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন প্রেমিক জামিল হোসেনের হাত ধরে বাংলাদেশে। ভালোবাসার এই বন্ধন আজ পরিণত হয়েছে বিবাহবন্ধনে।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের নিভৃতপল্লী বিলাশবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা কালাম হোসেনের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামিল হোসেন ।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসজীবনের সময় তার সাথে পরিচয় হয় নাজিয়ার। সেই পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে রূপ নেয় বন্ধুত্বে, এরপর প্রেম । এভাবে তিন বছর চলে তাদের দুজনেই প্রেমের সম্পর্ক । একসময় দুই পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়াতেই তারা বিয়ের কিছুটা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

তবে প্রেমের এই জয়গায় আরেকটি নতুন অধ্যায় যোগ হয়েছে শুক্রবার। জামিলের নিজ গ্রামে পারিবারিক আয়োজনে সম্পন্ন হয় তাদের বিবাহের মুল অনুষ্ঠান। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে জমকালো আয়োজনে হয় তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ।

বাঙালি তরুণ জামিল হোসেন জানান, ২০১৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে জহুরবারুর মোয়ার থানার এক ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। পাশে একটি শপিং মলে নিয়মিত যাতায়াতের সময় নাজিয়ার সঙ্গে তার পরিচয়। সেই সম্পর্ক রূপ নেয় প্রেমে। পরে নাজিয়া তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে শুরুতে আপত্তি থাকলেও শেষমেশ দুই পরিবার সম্মত হয়। মালয়েশিয়াতেই তারা বিয়ের কিছুটা আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।

এরপর ৩০ জুন বাংলাদেশে আসেন মালয়েশিয়ান তরুণী, এখানেও ইসলামি রীতিনীতি অনুযায়ী ৪ জুলাই (শুক্রবার) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম বলেন, ‘জামিলকে আমি মন থেকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। জামিলের পরিবার আমাকে মেয়ের মতো আপন করে নিয়েছে। গ্রামের মানুষজন এত আন্তরিক ভাবতেই পারিনি এত ভালোবাসা পাব।’তিনি জানান, এখানকার খাবারও তার ভীষণ পছন্দ হয়েছে।

জামিলের মা হালিমা খাতুন জানান,বউমার ব্যবহার ভালো। সে খুব সহজেই পরিবারের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। নানা কাজে সবার পাশে দাঁড়ায়। মানুষ তাকে দেখতে আসছে, প্রশংসাও করছে।