বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন সবাই চাইলেও এদেশের শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা কিন্তু চায় না। আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও এ দেশে তাদের প্রেতাত্মারা কিন্তু এখনো রয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন শাখা ও সকল অঙ্গ- সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ছাদুমুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী-১ আসনের এই বিএনপির প্রার্থী এ কথা বলেন।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভারতের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যাতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কিন্তু এ দেশের মানষ বেঁচে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবেন না। এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না। বাংলাদেশ এখন ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে না।’
আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: জলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, ‘১৬ বছর বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করে তারা নিজেদের জীবন চালিয়েছে। না খেয়ে বনে-জঙ্গলে পালিয়ে রয়েছে। যেটা আমরা করতে পারনি, সেটা আমাদের ছাত্ররা করে দেখিয়েছে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যেদিন মাঠে নেমেছিলো ও তারা আন্দোলন শুরু করেছিলো, রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করেছিলো, তখন তাদের মা-বাবা এবং আমরাও মাঠে নেমেছিলাম। তখন কোনো উপায় না দেখে হাসিনা সরকার এ দেশ ছেড়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিলো। তিনি পালালেও তার সাথে সাথে মন্ত্রী, এমপি ও চেয়ারম্যানরাও পালিয়েছেন। এমনকি মসজিদের ইমাম সাহেবও পালিয়েছে। যা কোনো দেশে নজির নেই। নির্বাচন নিয়ে কান্ডারী নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা হয়েছিলো। আমরা চুপ করে ছিলাম, কারণ ‘নিরবতা মানেই আল্লাহ তাল্লাহর ভাষা।’
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো: গাজী রাসেদ সমাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: বায়েজিদ আহমেদ পান্না, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক ও বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মো: জাফর ইমাম সিকদার, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহসীন উদ্দীন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম খোকন, সাবেক প্রফেসর অ্যাডভোকেট মো: মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা ফিরোজ আলম গোলদার ও ইউনিয়ন মহিলাদলের নেত্রী রোকেয়া মতিন প্রমূখ।



