ভোলায় খুন হওয়া খতিবের জানাজায় মানুষের ঢল, ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

শনিবার রাত ৯টায় এশার নামাজ শেষে নিজ বাড়িতে মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

শাহাদাত হোসেন শাহীন, ভোলা

Location :

Bhola
মাওলানা আমিনুল হক নোমানীর জানাজায় মানুষের ঢল
মাওলানা আমিনুল হক নোমানীর জানাজায় মানুষের ঢল |নয়া দিগন্ত

ভোলায় দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ও সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে (৪৫) নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আগামীকাল সোমবার জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে তার জানাজা থেকে তিন দফা কর্মসূচির ঘোষণা দেন ভোলা দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম।

বিকেল ৩টার দিকে নোমানীকে তার প্রতিষ্ঠিত মাওলানা এনামুল হক নুরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ইসলামিক দলগুলোর ঘোষণা দেয়া তিন দফা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— আগামীকাল সোমবার ভোলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বেলা ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও শোক র‍্যালি শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়া হবে।

এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নোমানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম। দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘এখনো এ ঘটনায় কেউ মামলা করেনি। পুলিশ অপরাধীদেরকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনার ক্লু উদঘাটনের কাজ চলছে।’

উল্লেখ, শনিবার রাত ৯টায় এশার নামাজ শেষে নিজ বাড়িতে মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার মৃত্যুর খবরের পরপরই রাতে ইসলামী দলগুলো হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে খুনিদের বিচার চেয়ে মিছিল করেন। এসময় তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে খুনিদের গ্রেফতার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানান। নিহতের পরিবার বলছে, পারিবারিকভাবে আলোচনা করে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।