অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

আরেকটা যুদ্ধ আছে, সেটা ইসলাম কায়েমের যুদ্ধ

‘গণভোটের মাধ্যমে ভোটের চরিত্র পাল্টাতে হবে। এই গণভোট হওয়াটা জাতির জন্য ভালো লক্ষণ। আর না হওয়াটা খারাপ লক্ষণ। যারা গণভোট চায় তারা জনগণের জন্য ভালো কিছু করতে চায়। আর যারা গণভোট হতে দিতে চায় না অথবা গণভোটের রেজাল্ট যেন না আসে সেজন্য গণভোট যেদিন হবে সেই দিনই তারা সংসদ নির্বাচন চায়।’

সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো
রংপুরে আটদলীয় বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
রংপুরে আটদলীয় বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান |নয়া দিগন্ত

কোরআনের জন্য যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, আপনারা সুন্দর একটি স্লোগান দিয়েছেন, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। দ্বিতীয় স্বাধীনতাও হয়ে গেছে, আর একটা যুদ্ধ আছে। সেটা হচ্ছে ইসলাম কায়েম করার যুদ্ধ। বদর, উহুদ যুদ্ধে সাহাবারা যেভাবে জীবন দিয়ে কোরআনের আইন চালু করেছেন, সেই সাহাবীদের অনুসরণে আপনাদের আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে কোরআনের আইনের জন্য আমরা যুদ্ধ করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে ভোটের চরিত্র পাল্টাতে হবে। এই গণভোট হওয়াটা জাতির জন্য ভালো লক্ষণ। আর না হওয়াটা খারাপ লক্ষণ। যারা গণভোট চায় তারা জনগণের জন্য ভালো কিছু করতে চায়। আর যারা গণভোট হতে দিতে চায় না অথবা গণভোটের রেজাল্ট যেন না আসে সেজন্য গণভোট যেদিন হবে সেই দিনই তারা সংসদ নির্বাচন চায়।’

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরে আটদলীয় বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি গণভোট চায় না বলেই সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট চায়। বিএনপি চায় না জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হোক। সে কারণেই তারা হ্যাঁ ভোট নয়, না ভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এজন্য তারা গণভোট জাতীয় নির্বাচনে দিন চাইছেন।’

সংসদ নির্বাচনের আগে কেন গণভোট হওয়ার প্রয়োজন সেই যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ‘গণভোট ঠিক করবে সংসদ নির্বাচনকে। কিন্তু একই দিনে যদি গণভোট হয় তাহলে এর রায় সংসদ নির্বাচনকে ভালো কিছু দিতে পারবে না। আগামী দিন যখনই হোক, যেভাবেই হোক সংসদ নির্বাচনের আগেই আমরা গণভোট চাই।’

এ সময় তিনি সবাইকে হাত উঠিয়ে গণভোটের পক্ষে রায় দেয়ার দাবি জানান। তখন সবাই হাত উঠান।

এরপর তিনি বলেন, ‘আপনারা গণভোটের পক্ষে জয়যুক্ত হয়েছেন। যারা গণভোটের বিপক্ষে তারা পরাজিত হবে ইনশাআল্লাহ। তাদের এই পরাজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।‘

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ নেজামী ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়োরম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, দিনজাপুর-রংপুর অঞ্চল পরিচালনা কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, মহানগর আমির এ টি এম আজম খান, জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়াল, জেলা সভাপতি এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু, মহানগর শিবির সভাপতি নুরুল হুদাসহ বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা।

সকাল থেকেই সমাবেশ উপলক্ষে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে কয়েক লাখ নেতাকর্মী অংশ নেন কালেক্টোরেট মাঠে। দাঁড়িপাল্লা, হাতপাখাসহ আট দলের প্রতীক সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে অংশ নেন তারা। বক্তব্যের মাঝে মাঝে পরিবেশন হয় ইসলামী সঙ্গীত।