মাসুদ করিম, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবারো দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত কয়েকদিনে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদী রক্ষা পাউবোর বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিন গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ। এদিকে পদ্মা নদীর এ ভাঙনরোধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (২৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দারা এ মানববন্ধন করেন।
এ সময় তারা পৈতৃক ভিটা রক্ষার্থে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপের দাবি করেন। একইসাথে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ করার আহ্বান জানান।
বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা গিয়াস মুন্সি বলেন, ‘আমাদের জানা মতে এ পদ্মা নদীতেই কয়েক হাজার একর ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙনও শুরু হয়েছে। এ ভাঙনে একরের পর একর কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো- ভাঙনের জায়গা থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বেড়িবাঁধের দৈর্ঘ্য মাত্র ৪০ মিটার। যার পাশ দিয়ে রয়েছে গ্রামের শত শত বসতবাড়ি। ফলে তিন গ্রামের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন।’
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীও আমাদের কাছে একটি আবেদন দিয়েছে। সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর পাঠানো হয়েছে।’
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা আমাদের টিম পরিদর্শন করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছি। তারা বরাদ্দ দিলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারব।’