তালপাকা গরমে পুড়ছে সিলেট, তাপমাত্রা ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

শরতে যে আদ্রতা থাকার কথা বাতাসে সেটা এখন নেই। সিলেটের আকাশে সেপ্টেম্বরে যে সুনীল, ঘননীল দৃশ্য দেখতে পাওয়ার কথা সেটা যেনো হারিয়ে গেছে।

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
সিলেটে ঘরে বাইরে আজ লোকজনের হাঁসফাঁস অবস্থা
সিলেটে ঘরে বাইরে আজ লোকজনের হাঁসফাঁস অবস্থা |ছবি : নয়া দিগন্ত

বিচিত্র ও উদ্ভূত আবহাওয়ার কবলে পড়েছে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনপদ সিলেট।

শীতে গরম আর গরমে শীত বলে একটা কথা চালু হয়েছে সিলেটে। এই ভরা শরতে ভাদ্রের তালপাকা গরমে পুড়ছে সিলেট।

সিলেট আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় সিলেটের তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৭ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা দুপুরের। সেটা আরো বাড়তে পারে। তাপমাত্রা ৩৬-এর কোটায় থাকলেও এটা ৪০/৪২ এর মতো অনুভব হচ্ছে বলে মনে করেন সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা রুদ্র তালুকদার।

নয়া দিগন্তকে তিনি জানান, সিলেটে ঘরে বাইরে আজ লোকজনের হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি জানান, রোববার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ অনেক বেড়ে গেছে।

ভাদ্রের এই তালপাকা গরমে এখন পুড়ছে সিলেট নগর। পুড়ছে গ্রামীণ জনপদও। প্রচণ্ড গরমে সিলেটে জনজীবনে একটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। শহরের রাজপথে দুপুর থেকে লোকজনের চলাচল কমে গেছে। বাইরের রোদ আর গরম থেকে বাঁচতে নাগরিকরা ঘরে ফিরে আসছেন। অফিস-আদালতে মানুষজনের উপস্থিতিও কমে গেছে।

নগরের আম্বরখানা এলাকায় দাঁড়িয়ে আছেন রিকশাচালক আবদুর রহমান। তার বাড়ি দিনাজপুরে। সকালে রিকশাচালালেও এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। গরমে ক্লান্ত তিনি। শরীর আর সায় দিচ্ছে না।

সিএনজি অটোরিকশা চালক শরীফ দুপুর ১টায় জানালেন, এতো গরম! ঘরে ফিরে যাচ্ছি। গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া রাস্তাঘাটে লোকজনও একেবারে কম।

আবহাওয়াবিদ শাহ সজিব আহমেদ চৌধুরী নয়া দিগন্তকে জানান, সিলেটের আবহাওয়া প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। শরতকালে আকাশের নীল গগনে একটা শান্ত প্রকৃতি খেলা করার কথা। সেটা আর দেখতে পাই না। শরতে যে আদ্রতা থাকার কথা বাতাসে সেটা এখন নেই। সিলেটের আকাশে সেপ্টেম্বরে যে সুনীল, ঘননীল দৃশ্য দেখতে পাওয়ার কথা সেটা যেনো হারিয়ে গেছে।