লক্ষ্মীপুরে রাস্তার সংস্কার কাজের উদ্বোধন

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : রেজাউল করিম

‘দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিশ্বমানের না করতে পারলে আমাদের কোনো অর্জনই দীর্ঘস্থায়ী ও ফলপ্রসূ হবে না।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার সংস্কার কাজের উদ্বোধন
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার সংস্কার কাজের উদ্বোধন |নয়া দিগন্ত

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিশ্বমানের না করতে পারলে আমাদের কোনো অর্জনই দীর্ঘস্থায়ী ও ফলপ্রসূ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রাস্তার সংস্কার কাজের উদ্বোধনকলে এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও থানা যুব বিভাগের সভাপতি তাওসিফ হাসনাহাইন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল হান্নান ও সেক্রেটারি রাসেল হোসেন সহ জামায়াত-শিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। যে জাতি যত উন্নত সেদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ততই উন্নত। মূলত, যোগাযোগ ব্যবস্থায় পশ্চাদপদ থেকে কোনো জাতিই সামানের দিকে এগুতে পারবে না।’

তিনি পতিত স্বৈরাচারী আমলে দেশের যোগাযোগ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা দেশের যোগাযোগ খাত প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রত্যেক বাজেটে যোগাযোগ খাতে প্রভূত বরাদ্দ রাখা হলেও তা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। ফলে আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আজও সেকেলেই রয়ে গেছে। তাই আমাদের উন্নয়নের গতিও রীতিমত তলানীতে। তাই এ শুভ বৃত্ত থেকে দেশকে বের করে আনতে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় আমাদের কোনো অর্জনই টেকসই হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার কোনো গোষ্ঠী বা শ্রেণির নয় বরং ১৮ কোটি মানুষের সমর্থনের সরকার। তারা ক্ষমতায় আসার পর সংস্কার ও বিচারের পর নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের আহামরি কোনো অর্জন নেই। বিচারেও নেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়েই ঐকমত্য হয়েছে। কিন্তু একটি বড় রাজনৈতিক দল এসব সংস্কারকে সাংবিধানিক বা আইনগত ভিত্তি দিতে চায় না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার জন্যই রাষ্ট্রীয় সংস্কারগুলোকে সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। একই সাথে জুলাই সনদকেও দিতে হবে আইনী ভিত্তি।’

তিনি অতীতের নির্বাচনের নামে প্রহসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা অতীতের মতো হাসিনা মার্কা নির্বাচন চাই না। নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। আর এমন নির্বাচনের অদ্বিতীয় রক্ষাকবজ হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।’

তিনি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।