আমতলীর বাজারে ক্রেতা কম, গরু বেশি

এদিকে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর কিছু ক্রেতা থাকলেও বড় গরুর ক্রেতা নেই বললেই চলে। এছাড়া দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা

Location :

Amtali
আমতলীতে জমে উঠেছে গরুর বাজার
আমতলীতে জমে উঠেছে গরুর বাজার |নয়া দিগন্ত

পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র তিন দিন বাকী। বরগুনা আমতলীর আটটি বাজারে গরু বেশি থাকলে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কম। এদিকে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর কিছু ক্রেতা থাকলেও বড় গরুর ক্রেতা নেই বললেই চলে। এছাড়া দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

আমতলী গরুর বাজার পরিচালক নিয়াজ মোর্শ্বেদ ইমন বলেন, ‘যারা গরু ক্রয় করবে তারা এলাকায় নেই। তারা সকলেই এলাকা ছাড়া। ফলে বাজারে ক্রেতা অনেক কম।’

আমতলী প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কোরবানির জন্য আট হাজার ৮১৩টি গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে এ উপজেলার ৯ হাজার ৭০টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৯১২টি গরু, ৫৯৫টি মহিষ, দুই হাজার ৫৬৩টি ছাগল। চাহিদার তুলনায় ২৫৭টি পশু বেশি রয়েছে। শেষ সময়ে আমতলীর বাজারগুলো গরুতে সয়লাব হলেও ক্রেতা তুলনামূলক কম। বাজারে যা বিক্রয় হচ্ছে তা উত্তরাঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা ক্রয় করছে পালনের জন্য। এতে খামারিদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে।

বুধবার (৪ জুন) আমতলীর গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, কিছু ছোট ও মাঝারি গরু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। বড় গরুর ক্রেতা নেই। এ বাজারে ৩০০ গরু বিক্রয় হয়েছে। তার মধ্যে ২০টির মতো কোরবানির গরু ছিল। বাকিগুলো পালনের জন্য কিনেছেন ব্যবসায়ীরা।

গরুর খামার মালিক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘খামারের পায়রা বাহাদুর নামের একটি গরু বাজারে নিয়ে এসেছি। ক্রেতারা দাম বলে না। সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম হাকালেও ক্রেতারা দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা বলছেন।’

দক্ষিণ রাওগা গ্রামের বাবুল মীর বলেন, ‘তিনটি গরু গত ১৫ দিন আগে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। এখন ওই গরু বিক্রি করতে পারছি না। একটি গরু অনেক কষ্টে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। অপর দুটির তেমন দাম উঠছে না।’

পৌরসভার খোন্তাকাটা এলাকার ক্রেতা আল হাসিব সজিব বলেন, ‘কোরবানি উপলক্ষে একটি ছোট গরু ক্রয় করতে এসেছি। বাজারে গরু অনেক, দামও কম। যাছাই-বাছাই করে স্থানীয় গরু ক্রয় করবো।’

কাঠালিয়া গ্রামের লিটন প্যাদা বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে গরু প্রতি ৩০-৩৫ হাজার টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। একটি গরু এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছি কিন্তু ক্রেতা এক লাখ টাকা দাম বলে, তাও দাম বলে চলে যায়।

পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে যে পরিমাণ গরু এসেছে তার চার ভাগের এক ভাগও ক্রেতা নেই। গত সপ্তাহে আমতলীর বাজার থেকে ২১টি গরু ১১ লাখ টাকায় ক্রয় করে কুষ্টিয়া নিয়ে বিক্রি করেছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি।’

গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামের ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, ‘পাঁচটি গরু গত এক মাস আগে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। এখন ওই পাঁচটি গরু বর্তমান বাজারে বিক্রি করলে মূলধনের টাকাও আসবে না। তারপরে আবার একমাস ধরে খাবার খাইয়েছি।’