নরসিংদীতে সরকারি অফিসের টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আটক ২

আটক ব্যক্তিরা শিবপুর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শিবপুর (নরসিংদী) সংবাদদাতা

Location :

Narsingdi
টাকাসহ আটক দুই আসামি
টাকাসহ আটক দুই আসামি

‎নরসিংদীর শিবপুরে পিআইও অফিসে সরকারি প্রকল্পের (কাবিখা/টিআর)-এর ৮১টি বিলের প্রেক্ষিতে আনুমানিক ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জালিয়াতি করে উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

‎উল্লেখ্য, শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ১৫ জুন (টিআর/ কাবিখা) প্রকল্পের ১৯১টি বিল হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দিলে বাজেট না থাকায় ৮১টি বিল ২৬ জুন বিলগুলো ভাউচার হয়। এ বিষয়টি এনএসআই অবগত হলে ওই কার্যালয় থেকে ২৮ থেকে ৩০ জুন বিষয়টি গোপনে অনুসন্ধান করা হয়। ওই গোপন অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে পিআইও অফিসের দু’জন কর্মচারী তুহিন (কার্য সহকারী, প্রজেক্ট) ও আশিক (পিয়ন, আউটসোর্সিং)-এর জালিয়াতি করা সরকারি টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া যায়।

‎এনএসআই-এর গোপন অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত প্রমাণাদি (ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ) ওই অফিসের কর্মচারী আশিকের স্বীকারোক্তিসহ বিভিন্ন তথ্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এবং নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করা হয়।

‎পরবর্তীতে এনএসআই প্রদত্ত প্রমাণাদি ও বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ করে পিআইও অফিসের অভিযুক্ত দু’জনকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

মঙ্গলবার বিকেল ২টার দিকে পুলিশ দু’জন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক ব্যক্তিরা (কাবিখা/টিআর) প্রকল্পের আত্মসাৎ করা ৫২ হাজার ৭৮ লাখ টাকার মধ্যে ৫২ লাখ টাকা পুলিশের কাছে জমা দেয় বলে জানা যায়।

আত্মসাতের বিষ‌য়ে শিবপুর সোনালী ব‌্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শ‌ফিকুল ইসলাম জানান, পিআইও অফিসের অফিস সহকারী তু‌হিন ব‌্যাংকে টাকা উত্তোলন ক‌রে নি‌য়ে যান, কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার টাকা নেয়‌নি ব‌লে জানায় তু‌হিন। সে ব‌লে ব্যাংকে ব‌্যা‌লেন্স নাই। প‌রে ইউএনও তু‌হিন‌কে পুনরায় টাকার জন‌্য ব্যাংকে পাঠাই‌লে তিনি ব‌লেন ব‌্যাংক কর্মকর্তা টাকা আত্মসাৎ ক‌রে‌ছেন ম‌র্মে দোষা‌রোপ ক‌রেন। প‌রে ইউএনও স‌্যারও আমা‌কে বি‌ভিন্নভা‌বে হয়রানি কর‌তে থা‌কেন। প্রকৃতপক্ষে পু‌রো ঘটনাটা বে‌রিয়ে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে।

বর্তমানে আটক ব্যক্তিরা শিবপুর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত অর্থ বছরের টাকার হিসাব না মিলাতে অফিসের দু’কর্মচারীকে সন্দেহ করা হয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর দীর্ঘ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের টাকাসহ আজ আটক করা হয়।

শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আফজাল হোসাইন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশনে হস্তান্তর করা হবে। শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফারজানা ইয়াসমিনকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।