লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর চন্ডিপুর খামার বাড়ী সংলগ্ন সোনাপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজান ক্রোকারিজের মালিক মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫) ও মেয়ে তানহা মীমকে (২০) গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় অর্ধকোটির টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান হত্যাকাণ্ডের শিকার জুলেখা বেগমের ছেলে ও তানহা মীমের বড় ভাই ফরহাদ হোসেন রাব্বী।
হত্যাকাণ্ডের শিকার জুলেখা বেগম গৃহিনী ও তানহা মিম রামগঞ্জ মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছান রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
ফরহাদ হোসেন রাব্বী জানান, আমি প্রতিদিনকার মতো বাবার সাথে সোনাপুর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যাই। দুপুরে বাবা বাড়ীতে খেয়ে আবার দোকানে চলে আসেন। রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে আমি দোকান থেকে বাড়ীতে চলে আসি। বাড়ীতে এসে দেখি আমাদের দোতলা বাড়ীটির মূল গেইট খোলা। দ্রুত রুমে ঢুকে দেখি আলমিরাসহ জিনিসপত্র এলোমেলো। এসময় আমি চিৎকার দিয়ে মা ও ছোটবোনকে ডাকি। কিন্তু কেউ সাড়া না দিলে আমি দোতলা পূর্ব পাশের মায়ের রুমে যাই। রুমে ঢুকে দেখি আমার মা ও বোন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমার আর্তচিৎকারে বাড়ীর লোকজন ছুটে আসেন।
জুলেখা বেগমের বড় মেয়ের স্বামী রামগঞ্জ বাজারের খাদেম ফ্যাশনের মালিক গোলাম মর্তুজা মামুন জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। গত কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীর ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন রাব্বির বিয়ের জন্য প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার কেনা হয়েছে। সেই সূত্রে এতবড় ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি মামুনের।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুল বারী রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ডাকাতির ঘটনা হলেও পুলিশ তদন্ত করছে। লাশ উদ্ধার পরবর্তী ময়নাতদন্তের জন্য হসপিটাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে ডাকাতি না অন্য কোনো কারণে এই হত্যাকান্ড সে বিষয়টি তদন্ত চলছে। জড়িতদের চিহিৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’