নব্য ফ্যাসিবাদরাই জামায়াত নেতা কাউছারকে হত্যা করেছে : ড. রেজাউল করিম

আইন সবার জন্য সমান। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তাই আমরা আশা করব, অপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপিও দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করবে এবং মজলুমের পাশে দাঁড়াবে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল |নয়া দিগন্ত

নব্য ফ্যাসিবাদরাই জামায়াত নেতা কাউছারকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা জামায়াত আয়োজিত জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ মিলন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে যারা নব্য ফ্যাসিবাদ শুরু করেছে তারাই আমার ভাই কাউছার আহমেদ মিলনের হত্যার সাথে জড়িত। অবিলম্বে দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের অপকর্ম বন্ধ করা না হলে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের মতো জনগণ তাদেরকেও বিতাড়িত করবে।

তিনি বলেন, আমরা সবাই ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু নতুন করে কোনো ব্যক্তি বা দল ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করুক এটা জনগণের প্রত্যাশা নয়। তাই অবিলম্বে এই হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

ড. রেজাউল করিম বলেন, আইন সবার জন্য সমান। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তাই আমরা আশা করব, অপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপিও দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করবে এবং মজলুমের পাশে দাঁড়াবে।

এ সময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদ, জেলা জামায়াত নেতা আবদুর রহমান, পৌর আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যা পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে লক্ষ্মীপুর শহরের আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত দলীয় নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।

উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলায় লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতার মৃত্যুর অভিযোগে বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০ জনকে।

রোববার (৮ জুন) রাতে নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম মামলাটি করেন। নিহত কাউছার আহমেদ রাজিবপুর এলাকার মরহুম মমিন উল্যার ছেলে। তিনি বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন।