হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দিন পর নিখোঁজ সামছুর লাশ খুঁজে পেয়েছে পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬।

Location :

Hatia

হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দিন পর নিখোঁজ শামছুর লাশ খুঁজে পেয়েছে পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগলার চরে কেউড়া বনের মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, সন্ধ্যার একটু আগে পরিবারের সদস্যরা সামছুর লাশ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম জানান, কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে তারা জাগলার চরে যান পিতার খোঁজে। সারাদিন খোঁজ করে বিকেলে কেওড়া বনের মধ্যে তার পিতার লাশ পাওয়া যায়। তবে পিতার লাশের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।

এদিকে এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহত মোবারক হোসেন সিহাবের চাচা ও নিহত সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জাগলার চর দখলকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিন ও শামছু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শামছু বাহিনীর প্রধান সামছু নিখোঁজ ছিলেন।

সংঘর্ষে নিহত অন্যরা হলেন, হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের চর আমান উল্যাহ গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৬), জাহাজমারা ইউনিয়নের পাইকবাধা এলাকার মো. সামছুদ্দিনের ছেলে মো. মোবারক হোসেন সিহাব (২১), হাতিয়া পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীদিয়া গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে হক সাব (৫৫), চানন্দী ইউনিয়নের মান্নান নগর এলাকার মৃত সেকুর ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৮) এবং নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মজিদ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল কাশেম (৫৭)।

আহতদের মধ্যে মো. সোহরাব (২৫) হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খবির উদ্দিনের ছেলে। অন্য আহতরা নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।