বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মো: ইকবাল হোসাইন বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই নির্বাচনে আমরা বিজয় লাভ করতে চাই।’
বুধবার (২০ আগস্ট) সাড়ে ৭টার দিকে পঞ্চগড় পৌর জামায়াতের এক কর্মী সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পৌর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেড মো: নাসির উদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক উপাধ্যক্ষ জেলা নায়েবে আমির মাওলানা মো: মফিজউদ্দীন, জেলার সহকারী সেক্রেটারি মো: আশরাফুল আলম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পঞ্চগড় পৌর সভার সেক্রেটারি মো: খুরশেদ আলম প্রমুখ।
ইকবাল হোসাইন বলেন, গত ১৭ বছর আমরা ঘর থেকে বের হতে পারিনি। হামলা-মামলা দিয়ে আমাদেরকে বিতাড়িত করেছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার। এখন জালিম সরকারের দিন শেষ হয়েছে। এজন্য সব ধরনের কুরবানি দিতে হবে। ত্যাগ তিতিক্ষা, জীবন ও অর্থনৈতিক ত্যাগের নজির রাখতে হবে। ইতিহাস প্রমাণ করে হজরত মুসা (আ:) এর কাছে ফেরাউন এবং হজরত রাসুল সা:-এর কাছে আবু জেহেল পরাজিত হয়েছে।
আমরা মুসলিম জাতি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। আমাদেরকে একটু ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সামনে আগাতে হবে। বিজয় আমাদের আসবেই। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদার বান্দাগণ তোমরা আল্লাহর রাস্তায় দান কর ওই দিন আসার পূর্বে যে কোনো সুপারিশ কারীর সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না’। আল্লাহ আরো বলেন, ‘তোমরা জিহাদ করো আল্লাহর রাস্তায় জান এবং মাল দিয়ে’। এ আয়াত দ্বারা বুঝা গেল শুধু নামাজ রোজা করলেই হবে না। আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যুগে যুগে সাহাবা আজমাইন আমাদের সামনে মহা ত্যাগের ইতিহাস গড়ে তুলেছে। বাতিল শক্তির মোকাবিলার জন্য বসে থাকলে চলবে না, আমাদেরকে সামনের দিকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশ শাসনের নামে শোষণ নির্যাতন করেছে, সাধারণ মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। অবশেষে তার পতন হয়েছে। এমপি, মন্ত্রী ও বড় বড় নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিজয়কে রক্ষার জন্য আমাদেরকে ময়দানে দ্বিনি দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।’
জেলা আমির আরো বলেন, হজরত রাসুল সা: এর যুগ থেকে শুরু কনে সাহাবী কেরাম, তাবেয়ী এবং আলেম ওয়ালামাদেরকে ইসলামের দুষমনদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সুদীর্ঘ ১৭ বছর পর ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটেছে। ফ্যাসিবাদ আর কখনো বাংলার জমিনে পা রাখতে পারবে না। বাংলার মাটিতে তাদের কবর রচনা হয়েছে। আসুন আমরা আল্লাহর জমিনে সবার কাছে দ্বিনি দাওয়াত পৌঁছে দেই।’