ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে কৃষকদের ওপর ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন বাহিনীর হামলা ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবি ও নিরাপদে কৃষি কাজের নিশ্চয়তা এবং পদ্মার চরে শান্তি ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্টেশন রোডে তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
পরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেন। অভিযোগ ও দাবি দাওয়া নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল মোত্তালিব।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আক্কাস আলী খান, ইদ্রিস আলী খান, সাঁড়াঘাট এলাকার দশা হওলদার, মাহতাব হালদার, দুলাল খাঁ, আনছার মাঝি, এজাজুল, মুজাম্মেল ও শাহাবুল আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রোববার (২৫ মে) বিকেলে ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও গোলাগুলির ঘটনায় অশান্ত চরে চাষাবাদ করতে গিয়ে আট কৃষককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। একই সাথে চর থেকে কৃষকের দুইটি বড় আকারের গরু লুট করে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খেয়েছে।
ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িস্থ পদ্মা চরে ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন বাহিনী এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে চরে কেউ গেলেই তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিটসহ রক্তাক্ত জখম করছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার সাঁড়া ঝাউদিয়া এলাকার মরহুম আইযুব আলীর ছেলে আনছার মাঝি (৬৭), আনছার মাঝির ছেলে মজনু (৩৫), একই উপজেলার মাঝদিয়া এলাকার সাদেকের ছেলে মাছিদুল (৩৬) ও মজিদুল (৪০), দুলাল খার ছেলে লিটন (৪০) এবং সোহান, আরাফাত ও এজাজুল।
আহতদের মধ্যে আহত লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই প্রান্তিক কৃষক। পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা নিজস্ব ও লিজ নেয়া জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন।