কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত বাবুল আক্তার সরকার (৬১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বাবুল আক্তার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামের মরহুম হারেজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া বাজার এলাকায় বাবুল আক্তার সরকারের সাথে তার বড় ভাই কারি সরকারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাবুল আক্তার সরকার ও সোহাগ হোসেন নামে দু'জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩১ আগস্ট হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে তিনি বাড়ি চলে আসেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বাড়িতে ছিলেন। অসুস্থবোধ করলে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাবুল আক্তার সরকারকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের ঘটনার পর ওই রাতেই তিনি হাসপাতাল থেকে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় মাদিয়া এলাকার আলম ও নবীর নামসহ আরো নয়জনকে আসামি করা হয়। বাবুল আক্তারের মৃত্যুর পর ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এখন বাবুল আক্তারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’