সিআইডি পরিচয়ে প্রবাসীর স্বর্ণালঙ্কার লুট, আটক ৫

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথক অভিযানে চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

জাকির হোসেন, চান্দিনা (কুমিল্লা)

Location :

Chandina
সিআইডি পরিচয়ে প্রবাসীর স্বর্ণালঙ্কার লুট, আটক ৫
সিআইডি পরিচয়ে প্রবাসীর স্বর্ণালঙ্কার লুট, আটক ৫ |ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার চান্দিনায় দিন দুপুরে সিআইডি পরিচয় দিয়ে প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আইফোন লুট করে এক প্রবাসীকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। একইসাথে এরপর প্রবাসীর স্ত্রীকে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথক অভিযানে চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রবাসীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি চক্রের ৫ সদস্য আটক করা হয়। রাতেই ছয়জনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মো: সোহেল সরকার।

আটককৃ হলেন- চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং মুন্সিবাড়ি এলাকার মৃত আজিজ মুন্সির ছেলে সোহেল মুন্সি (৩৯)। তিনি চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১নং ওয়ার্ড শ্রমিকদল সভাপতি। অন্যরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মালাপদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে সোহাগ আহমেদ (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার হাড়িয়া গ্রামের মো: চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৯), নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বীর চরমধুয়া গ্রামের মো. লিয়াকত আলীর ছেলে মো: হানিফ (২৭) ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মো: ইসমাইলের ছেলে মো: ফয়সাল (২৭)।

সংঘবদ্ধ এই আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের কাছ থেকে লুট হওয়া প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী প্রবাসী মো: সোহেল সরকার নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দক্ষিণ বটতলী গ্রামের মো: জব্বার সরকারের ছেলে। গত ১১ জুলাই রাতে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে সরাসরি শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার ছায়কোট গ্রামে আসেন।

তিনি জানান, রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে পাঁচ-ছয়জন লোক আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আমাকে খোঁজেন। এ সময় তারা নিজেদের সিআইডি পরিচয় দেন। আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসতেই তারা আমাকে জাপটে ধরেন এবং আমার কাছে অবৈধ মাল আছে বলে জানান। পরে তারা আমার শ্বশুরের ঘর থেকে আমার বিদেশ থেকে আনা প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১টি আইফোন ও ১টি স্মার্ট ফোনসহ আমাকে বাড়ি থেকে তুলে আনেন। তারা আমাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় এনে ২ লাখ টাকা দাবি করে আমার স্ত্রীকে ফোন দেন। আমার স্ত্রী চান্দিনা সেনাক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করেন এবং সাথে সাথে সোহেল মুন্সিসহ দুইজনকে আটক করেন।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুইজনকে আটক করে থানায় দিলে আমরা অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে আটক করি। সোমবার (১৪ জুলাই) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।