ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

সাংবাদিক তুহিনের শরীরে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির গলা, ঘাড়, বুক, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর নয়টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতগুলো আকারে ছোট-বড় হলেও প্রতিটিই সমান, গুরুতর ও গভীর ছিল।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামিরা
সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামিরা |ইউএনবি

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নয়টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

রোববার (১০ আগস্ট) রাতে পুলিশের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির গলা, ঘাড়, বুক, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর নয়টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতগুলো আকারে ছোট-বড় হলেও প্রতিটিই সমান, গুরুতর ও গভীর ছিল।

পাশাপাশি, সোমবার (১১ আগস্ট) তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাত আসামিকে দু’ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তাদের মধ্যে আসামি শাহজালাল দুপুরে তুহিনকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই আসামি গাজীপুরের মেট্রোপলিটন আদালত-৩-এর বিচারক ওমর হায়দাররের আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে রিমান্ডে থাকা সাতজনকেই জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুলাল চন্দ্র দাস জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় রিমান্ডে থাকার সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা তুহিনকে হত্যার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

এছাড়া আসামিদের মধ্য থেকে একজন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ থেকে শনাক্ত করে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হত্যা মামলায় পুলিশ ও র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত আসামি হলেন মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল-আমীন, স্বাধীন, মো: শাহজালাল, মো: ফয়সাল হাসান, সুমন ওরফে সাব্বির।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হওয়া ও শহিদুলকে অন্য একটি মামলা চালান করা হয়েছে। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় তার ভাই মো: সেলিম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট জিএমপির বাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইউএনবি