বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, গ্রামবাসীর মাঝে আতঙ্ক

বরগুনার বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ১০টি গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভেসে গেছে মাঠের উঠতি ফসল। ভারি বৃষ্টিপাতে আরো ভয়াবহতার আশঙ্কায় রয়েছেন একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।

বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা

Location :

Barguna
বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত |নয়া দিগন্ত

বরগুনার বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ১০টি গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভেসে গেছে মাঠের উঠতি ফসল। ভারি বৃষ্টিপাতে আরো ভয়াবহতার আশঙ্কায় রয়েছেন একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।

জানা যায়, বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যার পর থেকেই উপকূলীয় অঞ্চল বেতাগীতে শুরু হয় বৃষ্টি। কখনো মাঝারি, কখনো ভারি, এভাবে থেমে থেমে চলে বৃষ্টি। পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় একটানা মুষলধারে বৃষ্টি।

এদিকে অধিক বৃষ্টিপাতে উপজেলার ছোট মোকামিয়া কিসমত করুণা এলাকায় বিষখালী নদীর ১৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে ছোট মোকামিয়া, ঝিঙাবাড়িয়া, চরখালী, বটতলা, বদনীখালীসহ ১০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মোকামিয়া ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান (৫৬) বলেন, আজ দুপুরে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে মাঠের মুগডাল, বাদাম ও বোরো ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

ছোট মোকামিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত কুমার গাইন নামে এক শিক্ষক বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অপ্রয়োজনে রাস্তায় কেউ বেরও হচ্ছেন না। কৃষক ও গ্রামীণ বাসিন্দারা ক্ষতির আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বশির গাজী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনে টিম পাঠানো হয়েছে। ওইসব এলাকায় আর্থিক সহায়তা করা হবে।’