নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হলে সরকার হয়ত বিবেচনা করবে : নুর

শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খান জাহান আলী চৌধুরী, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

Location :

Brahmanbaria
বক্তব্য রাখেন নুরুল হক নুর
বক্তব্য রাখেন নুরুল হক নুর |নয়া দিগন্ত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ১১ ডিসেম্বর তফশিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এ অবস্থায় যদি নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন ও সরকার হয়ত বিবেচনা করবে। অন্যথায় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে।’

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন ও টাকা অফার করেছিল। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সাথে আপস করিনি। আমরা দু-চারটা আসনের জন্য কারো সাথে জোট করব না। যদি দেশের প্রয়োজনে জোট করি তবে তা ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে হোক, গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। আর দেশের প্রয়োজনে আমাদের দল যদি কোনো জোট করে তাহলে যেসব জায়গায় জনসমর্থন আছে সেসব আসন নিশ্চিত করেই আমাদের জোট হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতোই হুমকি-ধামকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি দেশব্যাপী কায়েম করতে চায়। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে।’

সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, ‘জনগণের ভয়ে ফ্যাসিবাদী দলের নেতারা সীমান্ত দিয়ে, হেলিকপ্টার দিয়ে, নদী-নালা ও খাল-বিল দিয়ে যে যেভাবে পেরেছে পালিয়ে গেছে। কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও একই রকম হবে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সব রাজনৈতিক দলকে সংযত ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানাই।’

দলীয় সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিতে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। জনসভায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: কাইয়ূম প্রমুখ।