মানিকগঞ্জে আধুনিক প্রযুক্তির শস্য গুদাম ব্যবস্থাপনায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মো: শাহানুর ইসলাম, মানিকগঞ্জ

Location :

Manikganj
কর্মশালা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বক্তারা
কর্মশালা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বক্তারা |নয়া দিগন্ত

মানিকগঞ্জে ‘আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটালাইজেশন কৃষি বান্ধব শস্য গুদাম ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) সরকারি সমন্বিত ভবনের মাল্টিপারপাস হল রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন শস্য গুদাম আধুনিকীকরণ ও ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক ফাতেমা ওয়াদুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের পরিচালক দেবাশীষ সরকার।

কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, কৃষি বিপণন অধিদফতর ঢাকা খামার বাড়ির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. মোহাম্মদ মুসলিম, কৃষি বিপণন অধিদফতর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো: মফিজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিসটিটিউশনের প্রধান বিজ্ঞানী ড. মো: মনিরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আতিকুল আল মামুন, বিপণন জেলা কর্মকর্তা মোরশেদ আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সদস্য-সচিব শাহানুর ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পেতে হলে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে আরো বেশি বেশি ঋণ প্রদান করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক যুগ্মসচিব ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘দেশের চালিকাশক্তির মূল জায়গায় আছে আমাদের কৃষক ভাইয়েরা, তাদের কোনো অবহেলা নয় বরং সবার চাইতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে তাদের কাজগুলো করে দিতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি বলেন, ‘অবশ্যই সরকার থেকে দেয়া প্রাপ্য সুবিধাগুলো কৃষকদের জানাতে হবে। একইসাথে সকল দুর্নীতি থেকে মুক্ত হয়ে কৃষকদের সুবিধাগুলো প্রদান করতে হবে। কৃষকরা সুষ্ঠুভাবে উৎপাদন করতে পারলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। এছাড়া আমাদের আমদানি নির্ভরতা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে।’

এ সময় অল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা ও ভর্তুকি দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়ার দাবি জানান কৃষকরা।