গাজীপুরে কাপাসিয়ায় বানার নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার করার সময় পানির স্রোতের সাথে কচুরীপানার নীচে চাপা পড়ে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো এক নারী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়েনর বানার নদীর খিরাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিপি আক্তার (৪০) কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং বিলকিস আক্তার (৩৫) একই গ্রামের আসিম উদ্দিনের স্ত্রী। একই গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রী বিনা আক্তারকে উদ্ধার করে পাশের নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে ভারী বর্ষণে কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি ও সনমানিয়া ইউনিয়নের সীমানায় বানার নদের তীরের পাকা সড়ক পানির তোড়ে অর্ধেকের বেশী ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়। নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীতে কচুরিপানায় ভরে থাকে। স্থানীয় পাঁচজন নারী ও ১০ জন পুরুষের দুটি দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
রোববার সকালে থেকে তারা কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করে। পুরুষেরা নদীর ভাটিতে এবং নারীরা উজানে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে থাকে। ভাটিতে পুরুষেরা দ্রুত কচুরিপানা পরিষ্কার করে ফেলায় নদীর পানিতে আকস্মিক প্রবল বেগে স্রোতের সৃষ্টি হয়।
এসময় পানি দ্রুত ভাটিতে (নিচে) নামতে শুরু করলে স্রোতের সাথে তিন নারী পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা লিপি আক্তারকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী নদীতে নিখোঁজ নারী বিলকিস আক্তারের লাশ পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার করে।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছে বিলকিস আক্তারকে উদ্ধার করে। এর আগে স্থানীয়রা লিপি আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।



