কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে শোডাউন করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজিতপুর উপজেলা সদরের সড়কগুলোতে মজিবুর রহমানে ছবি, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বাদ্য-বাজনাসহ মিছিল করে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মিছিলে নেতাকর্মীরা নানা ধরনের স্লোগান দেন। এর মধ্যে ছিল- ‘দুর্দিনের ইকবাল ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’, ‘ইকবাল ভাই যোগ্য লোক, মনোনয়ন তারই হোক’, ‘এ আসনে প্রার্থী যারা, ইকবাল ভাই সবার সেরা’ ইত্যাদি। পরে উপজেলার ডাক বাংলো মাঠে এক সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী মিলিত হন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা খেয়েছে, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে। দলের দুর্দিনে আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল। মামলা, হামলা উপেক্ষা করে বিএনপিকে উজ্জীবিত রেখেছেন তিনি। এ আসনে তাকেই মনোনয়ন দিতে হবে। দলের বাইরে জোটের কারো পক্ষে মনোনয়ন গেলে তারা সেই প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করবেন।
এ সময় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেন মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তফা আমিনুল হক, অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মামনুন রহমান পুটন, মোহাম্মদ আলী, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজতবা আলী জাহাঙ্গীর, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার শামীম, সদস্য সচিব ইফতেখার হায়দার ইফতি, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী হাসান সবুজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কবির হোসেন, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ফাইজুল হক টিটু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘দু’ যুগের বেশি সময় ধরে শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল বাজিতপুর-নিকলী বিএনপির নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে সাথে ছিলেন। ফ্যাসিস্ট আমলের ১৬ বছর জেল-জুলুমে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকেছেন, সঙ্কটে সহযোগিতা করেছেন। তাই তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়া হলে তা মেনে নেয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, বিএনপি ২৩৭টি আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করলেও কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে এখনো মনোনয়ন ঘোষণা করেনি। জানা গেছে, বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র দলগুলোর প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের জন্য এসব আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।