প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সৌদিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নড়াইলের শিমুল। ভুক্তভোগীর মা পারভীন বেগম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিমুল নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের জাফর শেখের ছেলে। বাবা নিজের ঘেরের জমি বন্ধক রেখে, মোটরসাইকেল বিক্রি করে ও সুদে টাকা নিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে । প্রতিবেশী প্রবাস ফেরত খাইরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে ছেলে শিমুলকে বিদেশ পাঠান। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে শিমুল এখন পুলিশি ভয়ে মরুভূমিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, খাইরুল ও শরিফুল সরকারি স্ট্যাম্পে চুক্তি করে টাকা গ্রহণ করে। চুক্তি অনুযায়ী শিমুলকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিতে আকামা করে মাসিক ১ হাজার ৮০০ রিয়াল বেতনে চাকরি দেয়ার কথা ছিল। তা না হলে টাকা ফেরত দেয়ার শর্ত ছিল; কিন্তু বাস্তবে শিমুলের কোনো চাকরি মেলেনি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রাম্য সালিশ হলেও কোনো ফল হয়নি। উল্টো আসামিরা আরো টাকা দাবি করছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, এরপর শিমুলের মা পারভিন বেগম প্রতিকার পেতে নড়াইল মানবপাচার প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে এবং আগামী ২২ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
শিমুলের পরিবার জানায়, মামলা করার পর থেকে আসামিরা নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। তবে অভিযুক্ত শরিফুল দাবি করেন, কাজ দেয়া হলেও শিমুল নিজেই পালিয়ে গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই মহিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত চলছে। শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।