গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার নবগঠিত ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি থেকে সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৯ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আজ সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদ্য পদত্যাগকারী সভাপতি মো: আল আমিন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, রোববার তিনি এবং অন্যান্য পদত্যাগকারী নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় দলের মূলনীতি, যোগ্যতা এবং মাঠপর্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি। অনেক পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীকে উপেক্ষা করে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণঅধিকার পরিষদের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।
পদত্যাগকারীরা বলেন, ‘আমরা সবসময় দলের প্রতি অনুগত থেকেছি, কিন্তু যে কমিটিতে আস্থা ও ন্যায়বিচার নেই, সেখানে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা সম্মিলিতভাবে পদত্যাগ করছি। তবে গণঅধিকার পরিষদের মূল আদর্শ, নীতি ও গণমানুষের রাজনীতিতে আমাদের বিশ্বাস অটুট থাকবে।’
সাবেক সভাপতি মো: আল আমিন সরদার বলেন, ‘নতুন কমিটির সেক্রেটারি জালাল দাড়িয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া সাবেক যুবলীগ নেতা মহসিন শেখকে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ দেয়ায় কমিটিতে থাকা নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন হয়েছে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় এবং আমি নিজেও মনঃক্ষুণ্ন হয়ে পদত্যাগ করেছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটি গোপালগঞ্জ জেলা শাখার ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়।