‘দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ’

বাংলাদেশে জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্তু জমির পরিমাণ কমছে। সেজন্য দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

Location :

Chattogram
‘দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ’
‘দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ’ |নয়া দিগন্ত

দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্তু জমির পরিমাণ কমছে। সেজন্য দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘বিনা’ গুরুত্বপূর্ণ অংশিদার।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম অঞ্চল উপযোগী বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তকরণ’ শীর্ষক আঞ্চলিক এক কর্মশালা বক্তার একথা বলেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী এ টি আই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো: মাহাবুবুল আলম তরফদার।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চা অঞ্চল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো: মাহাবুবুল আলম তরফদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রামের উপপরিচালক আপু মারমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কক্সবাজারের উপপরিচালক ড. বিমল কুমার প্রামানিক।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) নোয়াখালী উপকেন্দ্রের আয়োজনে, বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রামের সহযোগিতায় পরিচালিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিনা উপকেন্দ্র নোয়াখালীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো: ইলিয়াস হোসেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী এ টি আই অধ্যক্ষ মো: সামসুল আলম, হাটহাজারী কৃষি গবেষণাগারের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন অর রশিদ, ড. আমিনুল ইসলাম, বিনা’র তেল ফসল বৃদ্ধি প্রকল্প পরিচালক ড. রেজা মোহাম্মদ ইমন, বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা, বিএডিসি ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও সম্প্রসারণ বিভাগ এবং কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক।

কর্মশালায় অতিথি, বিশেষজ্ঞ উপস্থাপক ও কৃষি কর্মকর্তারা বিনা’র ২৩টি ফসল ও ১৩৭টি জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ, সুবিধা, অসুবিধা ও শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তকরণ তথ্য তুলে ধরে মতামত উপস্থাপন করেন।

বিশেষ করে বিনা উৎপাদিত ফসল মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করে, রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরতা কমায়, পানি সাশ্রয় করে এবং উচ্চ ফলনশীলতার গুরুত্ব কর্মশালায় তুলে ধরা হয়। ‘বিনা’ প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ একটি টেকসই চাষাবাদ পদ্ধতি যা খাদ্য স্বনির্ভরতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।