বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ফেরার পথে পুলিশের পিকআপসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন(এপিবিএন) সদস্য। বাকিরা বগুড়া সরকারি আজিজুল হক ও সোনাতলার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের ছাত্র।
বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পাঁচজন হলেন- বগুড়া চতুর্থ এপিবিএন’র কনস্টেবল(গাড়িচালক) আল হাদী(২৭), কলেজ-ছাত্র তারেক রহমান(২৫), শাহরিয়ার রহমান(২৬), আবিদ হাসান(২৬), সাদিক আকবর(২৬) ও আব্দুল্লাহ(১৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এপিবিএন সদস্য আল হাদীর গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি গ্রামে। পাশের কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমান টুকুর সাথে তার পরিবারের বিরোধ ছিল। আটক ব্যক্তিরা বুধবার রাতে এপিবিএনের ডাবল কেবিন পিকআপ নিয়ে কাতলাহার গ্রামে যান। সেখানে তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগ তুলে শফিকুরের ছেলে ওয়ালিদকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় ওয়ালিদের বাবা শফিকুর রহমান তাদের ৭০ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পান। পরে শফিকুর রহমান জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান।
এরপর বগুড়া গাবতলী ও সদর থানার পুলিশ পিকআপটি আটকের জন্য অভিযানে নামে। রাত দেড়টার দিকে সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাসে পুলিশের পিকআপটি আটক করে সদর থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
সদর থানা হাজতে আটক এপিবিএন সদস্য আল হাদী বলেন, ‘ওয়ালিদ অনলাইন জুয়ায় টাকা লাগায়। তাকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য পুলিশের গাড়ি নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে যাই। এরপর ওয়ালিদের বাবা শফিকুর রহমান স্বেচ্ছায় আমাদের ৭০ হাজার টাকা দেন। টাকা নিয়ে ফেরার পথে সদর থানার পুলিশ আমাদের আটক করে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার(এসপি) জেদান আল মুসা বলেন, ‘এপিবিএন সদস্য আল হাদীর পরিবারের সাথে পাশের কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমান টুকুর বিরোধ ছিল। তাকে ভয় দেখানোর জন্য তারা পুলিশের গাড়ি নিয়ে সেখানে যায়।’
বগুড়া চতুর্থ এপিবিএনের অধিনায়ক(অ্যাডিশনাল ডিআইজি) শহীদ আবু সরোয়ার জানান, ড্রাইভার কনস্টেবল আল হাদী কাউকে না জানিয়ে সরকারি গাড়ি নিয়ে নিজ দায়িত্বে বাইরে যান। সরকারি গাড়িটি জেলা পুলিশ এপিবিএনে হস্তান্তর করেছে। কনস্টেবল আল হাদীর বিরুদ্ধে আইনগত এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।