ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত না করে পূর্বের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির মাওলানা মোবারক হোসাইন আকন্দ।
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো: আবুল বাশার চৌধুরী (সাধন), অ্যাডভোকেট মো: আমির হোসেন ও ডাক্তার মোহাম্মদ আলী নেওয়াজসহ বিজয়নগর উপজেলার বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক সীমানা নির্ধারণের তালিকায় বিজয়নগরের ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চান্দুরা, হরষপুর ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত, হতাশাজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্থানীয়দের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সরাইলের সাথে কষ্টসাধ্য ও অসুবিধাজনক হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিজয়নগরের ১০টি ইউনিয়ন তিতাস নদীর পূর্বপাশে অবস্থিত এবং ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক বন্ধনে অভিন্ন। তাই প্রশাসনিক কার্যক্রম ও উন্নয়নের স্বার্থে পুরো উপজেলাকে একই সংসদীয় আসনে রাখা জরুরি।
মাওলানা মোবারক হোসাইন আকন্দ বলেন, ‘বিজয়নগরকে বিভক্ত করা হলে এটি জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী হবে। আমরা এক ও অভিন্ন আসন চাই। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ সর্বদলীয়ভাবে পূর্বের সীমানা বহাল রাখতে আন্দোলন চলছে এবং এ দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গণশুনানির পর কমিশন এ সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবে।’