দুবলার আলোরকোলে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে দুবলারচরে বিপুল পরিমাণ হরিণধরা ফাঁদ ও একটি ট্রলারসহ ৩২ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে আটক শিকারীদের আদালতে পাঠিয়েছে বনরক্ষীরা।
জানা যায়, ৩ নভেম্বর বেলা দেড়টার দিকে দুবলার আলোরকোল এলাকার ডিমের চর বনাঞ্চলে হেঁটে টহলের সময় বনের মধ্যে হরিণ শিকারীদের ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব। এ সময় অন্য শিকারীরা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে মারধর করে ওই শিকারীকে ছিনিয়ে নিয়ে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। এ সময় বনরক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি হাঁটা ফাঁদ জব্দ করে। পরে তারা বনের মধ্যে তল্লালি চালিয়ে তিনজন শিকারীকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- রাফি হাসান (৩০), শাহিদ মল্লিক (২৫) ও আলামিন আকুঞ্জি (২৮)। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায়।
আটক ওই ব্যক্তিরা মুসলিম পরিচয় আড়াল করে হিন্দুর পরিচয়পত্র দিয়ে দুবলার রাস উৎসবে গিয়ে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ পাতে বলে বনরক্ষীরা জানায়।
এদিকে ঘটনায় শরণখোলা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পরে পুলিশ আটক তিন আসামিকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
অন্যদিকে, দুবলার রাস উৎসবে গিয়ে সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের সময় পৃথক দুটি ঘটনায় বনরক্ষীরা প্রায় ৪০ কেজি হরিণ ধরার মালা ফাঁদ ও একটি ট্রলারসহ ৩২ জনকে আটক করে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ‘রাস উৎসবের আড়ালে আটক ৩২ জন হরিণ শিকারের জন্য সুন্দরবনের কেলের খাল এলাকায় ফাঁদ পেতে ছিল। এদের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।’



