পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত এমপি পদপ্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ‘দেশের মানুষ গত ৫৩ বছরে অনেক মত-পথ, নেতা-নেত্রী দেখেছে। এবার দেশের মানুষ জামায়াতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
পিরোজপুরের নাজিরপুর জামায়াতের উপজেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিঘিরজান ঘাট থেকে ট্রলারে গণসংযোগ শুরু হয়ে হোগলাবুননিয়া ঘাটে এসে শেষ হয়। এ সময় নাজিরপুরের কয়েকশত নেতাকর্মী অংশ নেন।
গণসংযোগ শেষে হোগলা বুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের পিরোজপুর জেলা আমির তোফাজ্জেল হোসাইন ফরিদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনিত এমপি পদপ্রার্থী, জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব। নাজিরপুর উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
প্রধান বক্তার বক্তবে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৫ বছরে জেল জুলুম অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে জামায়াতসহ বিরোধী মতের দল ও মতের মানুষদেরকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী গত ১৫ বছর সকল জুলুম নির্যাতন সয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছে। একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনের জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সেই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এই জাতির জীবনে ৫ আগস্ট এসেছে। ৫ই আগস্ট এসেছে বাংলাদেশকে নতুন করে বিনির্মাণের জন্য। যারা এখনো মনে করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।’
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘খুনি হাসিনার বিচার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার, আইনি সংস্কার, আরপিওতে সংশোধনী প্রয়োজন আছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনেও কিছু সংস্কার ও সংশোধনীর প্রয়োজন আছে। এসব করে দ্রুত নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখে নির্বাচনের আয়োজন করুন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। জনগণের বহু কাঙ্খিত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ গত ৫৩ বছরে অনেক মত-পথ, নেতা-নেত্রী দেখেছে। এবার দেশের মানুষ জামায়াতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখতে চায়। জামায়াত যাতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে না পারে তাই ফ্যাসিস্টদের মতো কেউ কেউ আবারো রাজাকার রাজাকার খেলা শুরু করেছে। গত ১৫ বছর রাজাকারের ব্যবসা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ তার পুঁজিপাট্টা, আমছালা সব হারিয়ে এখন ভারতে। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি এখন আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগের পথ ধরে রাজাকার রাজাকার ব্যবসা শুরু করছে। তাদের প্রতি অনুরোধ রইলো, এই ব্যবসা কইরেন না। এই ব্যবসা লসের ব্যবসা। এই ব্যবসা দেশের মানুষ পছন্দ করে না। এই ব্যবসায় আপনাদেরও আমছালা সব যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।‘