নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো হচ্ছে বৈশাখী মেলা

প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বৈশাখী মেলা। এতে নতুন মাত্রা যোগ করবে চৈত্র সংক্রান্তির বিকেলে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব।

Location :

Trishal
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় |নয়া দিগন্ত

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ক্যাম্পাসে এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বৈশাখী মেলা। এতে নতুন মাত্রা যোগ করবে চৈত্র সংক্রান্তির বিকেলে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব।

পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটি সূত্রে আরো জানা যায়, পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে দুপুরে ঘুড়ি ও সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানোর আয়োজন করা হয়েছে। সর্বশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে বৈশাখের গান, লোকগান, লোকনৃত্য, যাত্রাপালাসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া পহেলা বৈশাখে বৈশাখী মেলা উপলক্ষে স্টল বরাদ্দ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদযাপনের জন্য গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে আগামী ১৪/০৪/২০২৫ তারিখে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হবে। ওই মেলা উপলক্ষে স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে। স্টল বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অভ্যন্তরীণ সংগঠন/ব্যক্তিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। স্টল বরাদ্দ নেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহীগণকে আগামী ১২/০৪/২০২৫ তারিখের মধ্যে প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’

পহেলা বৈশাখে প্রথম বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজন করতে যাচ্ছে ঘুড়ি উৎসব। গ্রামীণ ঐতিহ্যের এই ঘুড়ি উৎসব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা-প্রিন্স) বলেন, ‘এবারই প্রথম আমরা ঘুড়ি উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা করেছি। যেহেতু ঘুড়ি উড়ানোর সাথে বাতাস বা বৃষ্টির একটা সম্পর্ক থাকে। সেক্ষেত্রে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আমরা ঘুড়ি উৎসব করতে পারব। সেই সাথে সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো হবে।’